১১ দিনের ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ব্যস্ততম শহরের ঘনবসতিগুলো এখন ধ্বংসস্তুপ। ঘরে ফেরা ফিলিস্তিনিরা গুণতে বসেছেন ক্ষয়ক্ষতির হিসেব।
গাজায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ১০ মে সংঘর্ষ শুরুর পর শনিবার প্রথম বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এরআগে, গাজা পুনর্গঠনে ৪৫ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
এদিকে ইসারয়েলি হামলার স্বাজন হারানো একেকটি পরিবারের হাহাকারে ভারি হয়ে উঠছে বাতাস। মা আর চার ভাই বোনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ছোট্ট মারিয়া। প্রাণে বেঁচে গেলেও স্বজন হারানোর বেদনা তাড়িয়ে ফিরছে তাকে।
হামলার সময় সে ভবনের তৃতীয় তলায় ছিল। কিন্তু আমরা যখন তাকে উদ্ধার করি, তখন সে ভবনের বাইরে। এরপর থেকে ও কোন কথা বলছে না। নাম জিজ্ঞেস করলেও একটি শব্দও তার মুখ থেকে বের হয়নি।
যুদ্ধবিরতির পর শনিবার গাজায় বিজয় মিছিল করেছে হামাস। এতে অংশ নেন হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। সম্প্রতি সিনওয়ারের বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে তা গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ঐ হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘ দিনের সংকট নিরসনে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই বলে মনে করে জাতিসংঘ। শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে দেয়া বিবৃতিতে গাজায় পূর্ণাঙ্গ রূপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে অন্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে কাতার। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধ গণহত্যার অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করছে মৌরিতানিয়া।
Leave a Reply