সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৪ মে থেকে তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। একই সঙ্গে ৬ মাসের ব্যাংক ঋণের সুদ, বিআইডব্লিউটিএ’র চার্জ ও অন্যান্য ফি এবং অগ্রিম আয়কর মওকুফের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
শনিবার দুপুরে ঢাকার সদরঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত দেড় মাস ধরে টানা লঞ্চ বন্ধ থাকায় নৌযান মালিকরা পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। তারা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা তো দিতেই পারছেন না বরং নিজেদের সংসার চালানোও দায় হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে অনেক নৌযান মালিক ব্যাংক ঋণের দায়ে জর্জরিত। এখন সরকার বিশেষ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে না আসলে নৌ-খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের লঞ্চ চালানোর সুযোগ রয়েছে। যেহেতু বাস চলছে, বিমান চলছে তাহলে আমরা কেনো লঞ্চ চালাতে পারবো না?
লঞ্চ মালিকদের ৬ দফা দাবি হলো- ২৪ মে থেকে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনের জন্য নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, অগ্রিম আয়কর ছয় মাসের জন্য মওকুফ করা, বিআইডব্লিউটিএ’র ৬ মাসের বার্দিং ও কনজারভেন্সি চার্জ মওকুফ করা, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ছয় মাসের সার্ভে ফি মওকুফ করা, ছয় মাসের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ করা।
অন্য দিকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন,যারা কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ভাবছেন তারা যদি মনে করেন এখন লঞ্চ চলাচলের সময় এসেছে অবশ্যই তারা ভেবেচিন্তে লঞ্চ চালু করে দিবেন, আমরা লঞ্চ মালিক শ্রমিকদের দাবি দাওয়া সরকারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাইদুর রহমান রিন্টু, পরিচালক আবুল কালাম খান, হামিদুল্লাহ সুমন, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় লঞ্চ চলাচলের দাবিতে সদরঘাট টার্মিনালে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন।
Leave a Reply