ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জে স্বামী মারুফকে হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যায় জড়িত স্ত্রী রিনা আক্তার উর্মি ও তার প্রেমিক ইমরান কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরকিয়ার জেরে স্বামীকে তার স্ত্রী উর্মি ও প্রেমিক ইমরান মিলে পরিকল্পনা করে হত্যা করে।
শাহাবুদ্দিন কবির আরো জানান, স্ত্রী উর্মির সাথে প্রেমিক ইমরানের দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরেকে বিয়ের জন্য বাঁধা হয়ে দাড়ায় স্বামী ইমরান। আর এই বাঁধাকে সড়িয়ে ফেলার জন্য উর্মি ও ইমরান স্বামী মারুফকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মাফিক গত ২১ মে শনিবার রাতে ইমরান ও মারুফ বাহিরে গিয়ে একত্রে মদপান করে। মারুফ রাত দুইটার দিকে ঘরে ফিরে। এসময় ঘরে আসা মারুফককে তার স্ত্রী উর্মি ট্যাংয়ের সাথে ঘুমের ঔষধ পান করায়। এতে মারুফ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরে।
এরপর মারুফকে মারার জন্য স্ত্রী উর্মি তার প্রেমিক ইমরানকে খবর দেয়। ভোর ছয়টার দিকে ইমরান মারুফের ঘরে প্রবেশ করে।
নিহত মারুফ কাজী
পূর্ব পরিকল্পনামতো উর্মি ও ইমরান দুজনে মিলে শক্ত হাতুড়ি দিয়ে মারুফের মাথায় আঘাত করে। এতে মারুফ সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। মারার জন্য ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামা কাপড় পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।
রাত পোহানোর পর সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
এসময় পুলিশের সন্দেহ হলে স্ত্রী রিনা আক্তার ওরফে উর্মি(২৭)সহ নয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এতে স্ত্রী উর্মি স্বীকার করেন যে তার প্রেমিককে নিয়ে স্বামী মারুফকে হত্যা করেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ডিবি দক্ষিণের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা জোড়া পুকুরপাড় এলাকা থেকে ঘাতক ইমরান(২৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরানের পিতা আমানুল্লাহ।
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায় এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রকৃয়াধীন।
Leave a Reply