ঢাকার বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। ঈদের পর মোটা চালের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। চাহিদা কমায় স্বস্তি ফিরেছে মুরগীর বাজারেও। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বাড়তি পেঁয়াজের দামও।
আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ঈদের আমেজ রয়ে গেছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। শুক্রবারও ক্রেতা সমাগম ছিল কিছুটা কম। তবে বাজারে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর ছিল চালের পড়তি দাম। কমতির দিকে।
অনেক দিন ধরেই ভোক্তাদের চাল কিনতে গুনতে হচ্ছিল বাড়তি টাকা। কিন্তু বর্তমানে চলতি বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসতে শুরু করায় কমছে দাম। ঈদের আগে মোটা স্বর্ণা জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তা ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় মিলছে। কেজিতে ৪ টাকার বেশি কমে মিনিকেট নামের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়। কমেছে আটাশ জাতের চালের দামও।
এদিকে, ঈদের পর চাহিদা কমায় কমেছে সব ধরণের মুরগির দাম। কেজিতে ৩০ টাকা কমে সোনালি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে। আর ব্রয়লার মুরগী কেনা যাচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
ভোজ্যতেল পাইকারি ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা জানান, সরবরাহ ভালো হলেও বাড়তি ভোজ্যতেলের দাম। পাইকারিতে বেড়েছে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের জন্যই লাগামহীন দেশের ভোজ্যতেলের দাম।
বাজারে সরবরাহ ভালো সবজির। বেগুন, করলা, টমেটো সহ বেশিরভাগ সবজি ৪০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে। তবে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
Leave a Reply