অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, যারা দিনমজুরের কাজ করতেন, তারা মহামারিতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদেরই অনেকে জড়িয়ে পড়ছেন অনৈতিক কাজে। এই অবস্থা চলতে থাকলে অপরাধের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে দ্বিগুণ। চলমান লকডাউনে মহামারির কারণে দেড় বছরে দেশের চাকরির বাজার সংকুচিত হয়েছে। বন্ধ হয়েছে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করেছে। লকডাউন হলেই বেকারদের তালিকায় যোগ হয় পরিবহন শ্রমিক, দোকান শ্রমিক ও দিনমজুর। সাধারন বাসের হেলপার ও কনডাক্টরররা সাধারণত দিনে ৫০০-৬০০ টাকা বেতনে কাজ করেন। চালকরা এক হাজার টাকার মতো পান। দূরপাল্লার বাসের চালক ও সুপারভাইজরদের বেতন কিছুটা বেশি হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন তারা। একদিকে আয় নেই, অন্যদিকে মালিক বা প্রশাসনও পাশে নেই। এ কারণে এ শ্রমিকদের অনেকে মাদক, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারেন বেশি।
দেশে মিনিবাস, পরিবহন, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক রয়েছে। লকডাউনে এদের বেশিরভাগই বসে আছেন। মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। এমন দাবি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
Leave a Reply