করোনায় ভারতের টিকা না আসায় বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহার হবে চীনের সিনোফার্ম টিকা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উপহার হিসেবে আসছে ৫ লাখ ডোজ। তারপর দুই মাসের মধ্যে আরও আসবে। এদিকে টিকা ছয় মাসের মধ্যে দেশে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত থেকে অক্সফোর্ডের টিকা আসতে দেরি হওয়ায় বিকল্প উৎস খোঁজা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভের পর সিনোফার্ম টিকার অনুমোদন দিল সরকার। চীনের এই টিকা বিশ্বের ৩৫টির বেশি দেশে দেয়া হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিনোফার্ম টিকার কার্যকারিতা ৭৯ ভাগ।
এদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, চীন থেকে উপহারের যে পাঁচ লাখ টিকা আসবে তা থেকে এক হাজার মানুষকে প্রয়োগ করে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, একই সাথে চীন ও রাশিয়ার টিকা দেশে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আমাদের দেশে ইনসেপ্টা, পপুলার ও হেলথকেয়ারের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঐ দেশগুলোর প্রতিনিধিদল কারখানা পরিদর্শন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ভারতকে টিকার জন্য অগ্রিম টাকা দেয়া হলেও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাই জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়া ও চীনের টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দেশের অন্তঃত ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তাই টিকা উৎপাদনকারী সকল দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।
Leave a Reply