করোনা আক্রান্ত হয়ে অজান্তেই ভালো হয়ে যায় বস্তিবাসী। করোনায় আক্রান্তের শ্রেণিভিত্তিক পরিসংখ্যান নেই এখনো। তবে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের প্রায় তিন হাজার ছোট-বড় বস্তিবাসীর আক্রান্ত বা মৃত্যুর খবর মেলেনি তেমন একটা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শ্রেণি যে ঢালাওভাবে আক্রান্ত হচ্ছে না, তা বলাই যায়। বিষয়টি নজরে আছে জানিয়ে আইইডিসিআর বলছে, এ নিয়ে গবেষণা চলছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের অনেকে মনে করেন করোনা ধনীদের রোগ, কেউ দেন সৃষ্টিকর্তার দোহাই। অনেকে আবার জ্বর সর্দিতে নিজেরা ওষুধ-পথ্য খেয়েই সুস্থ হয়েছেন।
সর্বোচ্চ কোভিড ঝুঁকির নগরীর বাসিন্দাদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বা বার বার হাত ধোয়ার বালাই নেই। রাজধানীর কড়াইল, টিএনটি, তেজগাঁও থেকে শুরু করে সব বস্তিতেই বাসিন্দাদের দাবি, এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হননি একজনও।
একজন বলেন, কড়াইলে একজনও করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। সবাই সুস্থ।
আরেকজন বলেন, একেক রুমে আমরা ১০-১২ জন করে থাকি। আমরা করোনা ভয় পাই না।
আরো একজন বলেন, ২১-২২ টা পরিবার একসাথে রান্নাবান্না করি, এখন পর্যন্ত কোনোকিছু হয়নি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বর-সর্দিকে খুব একটা পাত্তা না দেয়ায় কোভিড পরীক্ষায় আগ্রহী হন না শ্রমজীবী মানুষেরা। পরীক্ষায় মূল্য নির্ধারণে এই আগ্রহ আরো কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভাইরোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, তাদের এমনিতেই সচেতনতা কম। একবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক হবে।
অন্যদিকে আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমগীর বলেন করোনার যে বৈশিষ্ট্য, এতে ঘনবসতিতে বসবাসকারী মানুষগুলো অগোচরেই আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘুরে বেড়াচ্ছি বিষয়টা তা নয়। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন বস্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করছি। ১০ দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
জীবনাচারের ওপর সংক্রমণ ও সেরে ওঠার সক্ষমতা নির্ভরশীল বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ।
Leave a Reply