ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছোট বালিয়া সিংগিয়া কোলনীপাড়া গ্রামে লিচু গাছে আম ধরার কারণে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে গিয়েছে দেখতে। এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। করোনার সময়ে মানুষের সমাগম বুদ্ধি পাওয়া পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সিকিম আমটি গাছ থেকে ছিঁড়ে ফেলেছেনে বলে অভিযোগ করেছেন গাছের মালিক আব্দুর রহমান।
এরমধ্যে লিচুগাছে আম ধরার বিষয়টি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আমটি নিয়ে নানা ব্যাখাও দিয়েছে গবেষকরা। তাদের বলছে, লিচুগাছে আম ধরার ব্যাপারে উদ্ভিদতত্ত্বের কোনো ব্যাখ্যা নেই।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.বি.এম আরিফ হাসান খান জানিয়েছেন, আম ও লিচু একই বর্গের (sapindales order) অন্তর্ভুক্ত দুটি ফল হলেও এদের পরিবার ও ক্রোমোজম সংখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমের ডিপ্লয়েড ক্রোমোজম সংখ্যা ৪০ এবং লিচুর ক্রোমোজম সংখ্যা ২৮ অথবা ৩০ অথবা ৩২ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ক্রোমোজম সংখ্যা যদি এক হতো তাহলে অনেক সময় এমনটা ঘটতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে লিচুগাছের লিচুর থোকায় আম ধরার বিষয়টা খুবই অস্বাভাবিক। এর আগে কখনো এমনটি শোনা যায়নি।
আর অধ্যাপক ড. জি.এইচ.এম সাগর জানিয়েছেন, লিচুগাছে আম ধরার ব্যাপারে উদ্ভিদতত্ত্বের কোনো ব্যাখ্যা নেই। এমনটি ঘটার কথাও না। তবে আম ও লিচুর ফুল প্রায় একই সময়ে আসে এবং দুটি ফুলই অনেকটা একই রকম।
Leave a Reply