1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর সুযোগ আছেএখনো বাংলাদেশের

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর সুযোগ এখনো বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছেন চীনা বিশেষজ্ঞ ড. জ্যাং ওয়েহং। এ জন্য বাংলাদেশকে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে ওই চীনা বিশেষজ্ঞ এসব পরামর্শ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

চীনা বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থামাতে হলে এখনই বিস্তৃত পরিসরে পরীক্ষা চালিয়ে আক্রান্তদের আলাদা করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। আবার পরীক্ষার সময় যেন ভাইরাস গোটা হাসপাতালে ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে তার পরামর্শ হলো- হাসপাতালের বাইরেই স্ক্রিনিং স্টোর তৈরি করা যেতে পারে এবং যাদের মৃদু লক্ষণ থাকবে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে। যাদের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা দেখা দেবে তাদেরই কেবল হাসপাতালে চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য নেওয়া যেতে পারে। সেইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

চীনা ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, পরীক্ষার ওপর নির্ভর করবে মৃত্যুর হার। যত বেশি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে ততই মৃত্যুর হার কমানো যাবে। আর এসব পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়েছে, তা বোঝা যাবে দুই সপ্তাহ পর।

এ ব্যাপারে উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, চীনে সাংহাই ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় কাছাকাছি সময়ে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কিন্তু সহজ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে সাংহাইয়ের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিতে গুরুত্ব না দেওয়ায় আজকের অবস্থা হয়েছে।

আবার পরীক্ষার বিষয়েও সতর্ক করেন এ চীনা গবেষক। বলেন, নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি না হলে অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে যাবে এবং তারা অজান্তেই সর্বত্র ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেবে।

ম্যালেরিয়া ওষুধে করোনা রোগী সেরে উঠে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এর মাধ্যমে ব্যথার কিছুটা উপশম হতে পারে। কিন্তু ভাইরাসকে থামাতে পারবে না।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২০ ভাগ রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয় জানিয়ে চীনা গবেষক বলেন, এ জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সর্বোপরি ভয়াবহ এই ভাইরাসটির কবল থেকে মুক্তি পেতে হলে কোনো একক দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। সেজন্য এর মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করেন ড. জ্যাং ওয়েহং।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয়। আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। সেইসঙ্গে মারা গেছে ২০ জন।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews